কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধের নামে মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে টেকনাফের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওসি প্রদীপ ছাড়াও ১২ জনকে এই মামলার আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত মোট ১৩ জনের মধ্যে ১২ জন পুলিশ সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের একজন দফাদার রয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে নিহত মিজানুর রহমানের বড় বোন টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর নাহার বাদী হয়ে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) হেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত বিকেলে শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে কিনা তা আগামী ধার্য্য তারিখে জানাতে টেকনাফ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী জুলকারনাইন জিল্লু।
বাদীপক্ষের আইনজীবী গণমাধ্যমকে জানান, ভিকটিম মিজানুর রহমান মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনা করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ৫ এপ্রিল সকালে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মসজিদ মার্কেটের দোকান থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে একদল পুলিশ গিয়ে তার বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং মিজানের পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
পরে মিজানের পরিবার ধারকর্য করে ২ লাখ টাকা জোগাড় করে ওসি প্রদীপকে দেয়। কিন্তু এতে মন ভরেনি তার। বাকি টাকা না দিতে পারায় রাত পৌনে ১২টার দিকে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে মিজানুরকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
নিহত মিজানুর রহমানের বোন নুর নাহার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ভয়েস টিভি/টিআর