Home জাতীয় অপেক্ষার প্রহর শেষ, চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুটে ট্রেন চলবে আজ

অপেক্ষার প্রহর শেষ, চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুটে ট্রেন চলবে আজ

by Shohag Ferdaus

১৯৬৫ সাল থেকে আজ অবধি এই দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। প্রায় ৫৫ বছর পর আজ চালু হচ্ছে নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ী পর্যন্ত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ রুটে আজই চলবে ট্রেন। রেলপথে দুই বাংলার সংযোগ স্থাপনের এই মাহেন্দ্রক্ষণ ঘিরে চিলাহাটি রেলস্টেশন সেজেছে অপরূপ সাজে।

১৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নবনির্মিত রেল রুটটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। ইতোমধ্যে এর সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বড় পর্দায় দেখানো হবে চিলাহাটির অনুষ্ঠান স্থলে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

রুটটি দিয়ে পুনরায় ট্রেন চলাচলের খবরে খুশির আমেজ বইছে চিলাহাটিসহ গোটা নীলফামারীতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন স্থানে তোরণ, গেট ও ব্যানার টাঙিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। গোটা চিলাহাটিজুড়ে সাজসজ্জা দেখা গেছে।

ব্রিটিশ আমল থেকে অবিভক্ত ভারতে যোগাযোগের প্রধানতম রেলপথ ছিল চিলাহাটি-হলদিবাড়ী। এই পথ দিয়ে নিয়মিত চলাচল করত দার্জিলিং থেকে খুলনা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত একাধিক যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন। ওই রেল যোগাযোগকে ঘিরে চিলাহাটিতে গড়ে ওঠে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সে সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীদের আনাগোনায় মুখরিত চিলাহাটিতে গড়ে উঠেছিল মার্চেন্ট সমিতি।

সেই মার্চেন্ট সমিতির হাত ধরে এলাকায় হয়েছিল বিভিন্ন উন্নয়ন। তারই নিদর্শন চিলাহাটি মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর পথটি বন্ধ করে দেওয়া হলে স্থবির হয়ে পড়ে নীলফামারীসহ আশপাশের জেলার ব্যবসা-বাণিজ্য। সেই থেকে ফের রেলপথ চালুর দাবি তোলে এলাকাবাসী। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ ৫৫ বছর পর পথটি ফের চালুর উদ্যোগ নেয় দুই দেশের সরকার।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট সাতটি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে ইতোমধ্যে চারটিতে রেলওয়ে সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। পঞ্চম ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট হবে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুট।

এ রেলপথটি চালু করতে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। প্রকল্পটির মধ্যে রয়েছে চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ ও দুই দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপলাইন নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামো। এসব কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চিলাহাটি রেলস্টেশন চত্বরে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

আজ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন ঘোষণার পর চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে পণ্যবাহী একটি ট্রেন ছেড়ে যাবে ভারতের হলদিবাড়ির দিকে। ওই রেলবহরে থাকবে ভারতীয় ৩২টি খালি ওয়াগন। আর রেলবহরটিকে টেনে নিয়ে যাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি ইঞ্জিন। এসব ওয়াগান হলদিবাড়ি রেলস্টেশনে রেখে ফের সীমান্ত অতিক্রম করে দেশে ফিরে আসবে ইঞ্জিনটি।

আরও পড়ুন:৭১’র পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like