Home জাতীয় হাতে হাতে নতুন বই

হাতে হাতে নতুন বই

by Shohag Ferdaus

দুই বছর আগেও নতুন বছর ও শিক্ষাবর্ষের শুরু মানেই ছিল সারা দেশে স্কুলে স্কুলে উৎসব। শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে খালি হাতে স্কুলে গিয়ে আনন্দ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিনা মূল্যে পাওয়া নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে বাড়ি ফিরত। কিন্তু দুই বছর ধরে সেই আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মাঝে রেখা টানল করোনার সংক্রমণ। তবে আনন্দ উৎসবে রেখা টানলেও বই বিতরণের কাজে বড় বাধা হতে পারেনি করোনার সংক্রমণ।

ভিন্ন প্রক্রিয়ায় বছরের শুরুর দিনেই ১ জানুয়ারি শনিবার সারাদেশে স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এক দিনে বা একসঙ্গে বই না দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দিন বা সময়ে দেওয়া হচ্ছে বিনা মূল্যের বই। ফলে, এবার বই বিতরণের কাজটি চলবে আরও কয়েক দিন।

আজ খ্রিষ্টীয় নববর্ষের শুরুর দিনে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের চারটি বিদ্যালয়ে সরেজমিন দেখা গেছে, ভিড় ছাড়াই আলাদা আলাদা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বই দেওয়া হচ্ছে। তবে যারা বই পাচ্ছে, তাদের সবাই সব বই পাচ্ছে না। যতগুলো বই পাওয়ার কথা ছিল, কোনো কোনো শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তার চেয়ে কম বই পাচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনো সব শ্রেণির সমস্ত বই বিদ্যালয়ে পৌঁছায়নি। এ জন্যই কোনো কোনো শ্রেণিতে সব বই দেওয়া যায়নি। মূলত, মাধ্যমিক স্তরের কয়েকটি শ্রেণিতেই এ সমস্যা হচ্ছে।

এ বছর মোট ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ শিক্ষার্থীর জন্য মোট ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যবই বিনা মূল্যে বিতরণ করা হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বই ছাপার কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এবার মাধ্যমিকের বিনা মূল্যের মোট পৌনে ২৫ কোটি বইয়ের মধ্যে গত ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় পৌনে ২২ কোটি বই ছাপা হয়েছে। এর মধ্যে ওই দিন পর্যন্ত ছাড়পত্র দেওয়া হয় প্রায় ২০ কোটি বইয়ের। মাধ্যমিকের বাকি বই ছাপার কাজ শেষ হতে আরও প্রায় এক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিটিবির এক কর্মকর্তা। অবশ্য প্রাথমিক স্তরের প্রায় সব বই ছাপার কাজ শেষ হয়েছে।

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like