Home জাতীয় হামলাকারীরা রাজনৈতিক পরিচয়ে রেহাই পাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

হামলাকারীরা রাজনৈতিক পরিচয়ে রেহাই পাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

by Newsroom
হামলাকারীরা

ঢাকা: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলাকারীরা দলীয় বা রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাজধানীতে নিজ বাসভবনে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হামলাকারীরা যে দলের কিংবা যে মতেরই হোক, তারা ঘৃণ্য অপরাধী। বর্বরোচিত এ হামলার দায়ে অপরাধীরা ছাড় পাবে না। সরকার অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন অপরাধীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্ত ও অনুসন্ধান শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা আগেও দেখেছেন, আমাদের সরকার অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই চিহ্নিত করে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও এটিই। অপরাধ করে আমাদের দলের সংসদ সদস্য ও নেতা রেহাই পায়নি। তিনি যে পর্যায়ের নেতাই হোন, অপরাধ করলে বিন্দুমাত্র ছাড় পাচ্ছেন না। ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার সাথে যে নেতা বা ব্যক্তিই জড়িত বলে প্রমাণিত হবেন, তিনিও ছাড় পাবেন না। দলীয় পরিচয় তাকে শাস্তি থেকে রেহাই দেবে না।

এদিকে দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সম্পন্ন হয়েছে। তাঁকে বর্তমানে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত হননি। তবে, তাঁর সেরে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাসভবনের নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ ও উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানাকে আটক করেছে পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার ভোরে হিলির কালিগঞ্জ এলাকা থেকে এ ঘটনার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম ও সন্দেহজনক আরেক আসামি জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ দল। তারাই ইউএনওর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। জানা গেছে গ্রেপ্তার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এবং আসাদুল ইসলাম আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।

বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। তারা বাবাকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ওয়াহিদার স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি তাঁর কর্মস্থলে ছিলেন।

ভয়েস টিভি/টিআর

You may also like