Home জাতীয় ৫৮ ইউএনওর নিরাপত্তায় ১০ জন করে আনসার

৫৮ ইউএনওর নিরাপত্তায় ১০ জন করে আনসার

by Newsroom
১০ জন করে আনসার

রংপুর বিভাগের আট জেলায় দায়িত্বরত ৫৮ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিরাপত্তায় ১০ জন করে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। ইউএনওদের নিরাপত্তায় ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল থেকেই দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন তাঁরা।

পর্যায়ক্রমে বিভাগের সব উপজেলায় এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। রংপুর জেলা প্রশাসক আসিফ আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর দুবৃত্তদের হামলার ঘটনার পর সরকার রংপুর বিভাগের সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয়।

এ বিষয়ে গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রংপুর রেঞ্জ পরিচালক একেএম জিয়াউল আলম বিভাগের আট জেলার কমান্ড্যান্টকে একটি নির্দেশনা পাঠান। এতে প্রত্যেক ইউএনওর জন্য ১০ জন করে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়।

জেলা কমান্ড্যান্টদের কাছে পাঠানো এই চিঠিতে বলা হয়, রংপুর বিভাগের আট জেলার (রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও) ৫৮টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একজন পিসি, একজন এপিসি ও আটজন আনসারসহ মোট ১০ জন করে সশস্ত্র অঙ্গীভূত আনসার সদস্য মোতায়েন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

আরও পড়ুন: ইউএনও’র ওপর হামলার প্রধান আসামিসহ দুইজন গ্রেপ্তার

এদিকে দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সম্পন্ন হয়েছে। তাঁকে বর্তমানে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত হননি। তবে, তাঁর সেরে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ছয় সদস্যের চিকিৎসক দল ইউএনও ওয়াহিদার মাথার জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন।

বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। তারা বাবাকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ওয়াহিদার স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি তাঁর কর্মস্থলে ছিলেন।

ভয়েস টিভি/টিআর

You may also like