করোনা শনাক্তের নকল কিট, রি-এজেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন করে মেয়াদ বাড়িয়ে বিক্রির অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে চার ট্রাক অনুমোদনহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল টেস্ট কিট, রি-এজেন্ট জব্দ করা হয়।
১৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার।
র্যাব–২–এর মিডিয়া অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছে, নকল টেস্ট কিটগুলো সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করত চক্রটি। এছাড়া তাদের কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটও পাওয়া গেছে। চার ট্রাকে প্রায় ১২ টন পণ্য জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী মো. শামীম মোল্লা (৪০), ব্যবস্থাপক মো. শহীদুল আলম (৪২), প্রধান প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল বাকী ছাব্বির (২৪), অফিস সহকারী মো. জিয়াউর রহমান (৩৫), হিসাবরক্ষক মো. সুমন (৩৫), অফিস ক্লার্ক ও মার্কেটিং অফিসার জাহিদুল আমিন পুলক (২৭), সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহেল রানা (২৮), এক্সন টেকনোলজিস্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের এমডি মো. মাহমুদুল হাসান (৪০), হাইটেক হেলথ কেয়ার লিমিটেডের এমডি এস এম মোজফা কামাল (৪৮)।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান অনুমোদনহীন মেডিকেল ডিভাইস আমদানি, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ করোনার টেস্টিং কিট ও রি-এজেন্টসহ অন্যান্য রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন রোগের টেস্টিং কিট ও রি-এজেন্ট মজুত এবং বাজারজাত করছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া ও বনানীতে টানা অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভয়েস টিভি/এসএফ
