মহামারী করোনা ভাইরাসে পুরো পৃথিবী জুড়ে সংক্রমিত হয়ে বহু চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এখনো পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা। এমন অবস্থার পরেও সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে বসে নেই তারা। তেমনই একজন মিসরীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক আলাদিন। এই চিকিৎসক ১ লাখ ৫৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে একজন যারা ব্রিটেনে জন্মগ্রহণ করেননি।
কিন্তু ব্রিটেনের এমন দুঃসময়ে ফ্রন্টলাইন ছেড়েও যাননি। আলাদিন বলেন, আমি এই দেশ ও দেশের মানুষের জন্যে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে দিয়েছি। এই দেশকে যে ভালোবাসি তার প্রমাণ হিসেবে এর থেকে বেশি কিছু দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বিবিসি লন্ডনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে আলাদিন আরও বলেন, এখন যদি করোনা আক্রান্ত কোন রোগীর চিকিৎসা করতে যেয়ে তিনিও করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান তাহলে তাঁর তিন সন্তান ও স্ত্রী মিশরে ফিরে যেতে বাধ্য হবেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন বিদেশি বংশোদ্ভূত ডাক্তার এবং নার্সদের ব্রিটেনে থাকতে গেলে কয়েক হাজার পাউন্ড অর্থ দিতে হয়। বর্তমান আইন অনুযায়ী কটি পাঁচ বছরের একটি পরিবারের পাঁচ বছরের ওয়ার্ক পারমিট বা সীমিত ছুটিতে ভিসা থাকার জন্য ৯ হাজার ডলারের বেশি অর্থ দিতে হবে। এই বছরের শেষের দিকে চারজনের একই পরিবারকে ১৫ হাজার ডলারের বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনী প্রচারের সময় দলগুলি এই স্তরে শুল্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এটিকে অন্যায় বলে মনে করছেন অভিবাসী স্বাস্থ্যকর্মীরা। শুল্কের সমালোচনা করে স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, ‘আমার হৃদয় এখানে ফ্রন্টলাইনে রয়েছে, তবে আমি কেবল এতটুকু দিতে পারি।’