ঢাকা : গোয়েন্দা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবির কার্যলয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন।
তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে কোভিড-১৯ শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার যেসব রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তার বেশিরভাগই ভুয়া ছিল বলে স্বীকার করেছেন সাহেদ। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য কিছু যন্ত্রপাতি রাখা ছিল। যা দিয়ে করোনার কোনো টেস্ট করা হতো না। শুধু হাসপাতালে শো-করে রেখেছিল। তবে র্যাবের অভিযান পরিচালনার আগেই সাহেদ ওই সব যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলেন।
সেসব যন্ত্রপাতি উদ্ধারের চেষ্টা করার কথা জানিয়ে আব্দুল বাতেন বলেন, যদি প্রয়োজন হয় তবে সাহেদকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, সাহেদকে রিমান্ডে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যারা সাহেদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন অভিযোগ করতে চাইলে ডিবি পুলিশ তাদের অভিযোগ নেবে। আমরা ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দেবো।
এ দিকে, বৃহস্পতিবার সকালে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভজকে ১০ দিনের রিমান্ডে দেয় আদালত। একই আদালত সাহেদের প্রধান সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীর দ্বিতীয় দফায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এর আগে সাহেদসহ গ্রেফতার তিনজনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।
১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, কোভিড-১৯ চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে।
প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
ভয়েসটিভি/নিজস্ব প্রতিবেদক/এএস
