করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে নিয়ে অভিযানে বের হয়েছে র্যাব। ১৫ জুলাই বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি ফ্লাটে এই অভিযান শুরু করে।
র্যাব ওই ভবনে প্রবেশের সময় বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরা ছিলেন সাহেদ। এর আগে সোয়া ১২টার দিকে ওই ভবনে র্যাবের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম প্রবেশ করেন।
সাহেদকে নিয়ে এই ভবনের ৪(এ) নম্বর ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব সূত্র। তবে এটি সাহেদের নিজস্ব ফ্ল্যাট কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভবনটি বুধবার সকাল থেকে ঘিরে রাখতে দেখা যায়। জানতে চাইলে ভবনের নিচে অবস্থান করা র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একটা তথ্যের ভিত্তিতে এখানে (উত্তরা) এসেছি, তথ্য যাচাই করে বিস্তারিত বলতে পারব। আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। প্রক্রিয়া শেষ হলে আপনাদের জানানো হবে।
এর আগে র্যাবের অভিযান দলের হেলিকপ্টারযোগে বুধবার সকাল ৯টার দিকে সাহেদকে নিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় তেজগাঁও বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। সেখান থেকে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদ করা হয়।
বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, কোভিড-১৯ চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে।
প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। এতে ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা থেকে আটক আটজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ৯ জনকে পলাতক আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ৮ জুলাই রাতে গ্রেফতার করা হয় সাহেদের প্রধান সহযোগী তারেক শিবলীকে। আর রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজকে ১৪ জুলাই গ্রেফতার করা হয়।
ভয়েসটিভি/নিজস্ব প্রতিবেদক/এএস