ঢাকা : মুজিববর্ষ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে সারা দেশে প্রায় ২ হাজার ৫ শ কি.মি. এলাকাজুড়ে বনজ, ফলজ ও ঔষধি এই তিন ধরনের মোট ১০ লাখ বৃক্ষ রোপণ করবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। সোমবার দুপুরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থাসমূহের অফিস প্রাঙ্গণ, আওতাধীন জমি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের খাল-নদী তীর ও অন্যান্য ফাঁকা জায়গায় এসব গাছ রোপণ করা হবে।
এ বিষয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেন, মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বনায়ন ও সবুজ বেষ্টনীর লক্ষ্যে ১ কোটি চারা রোপণ কর্মসূচি চলছে। এই কর্মসূচির আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৯ টি বিভাগের অধীনে প্রায় ২ হাজার ৫শত কি.মি. এলাকায় মোট ১০ লাখ বৃক্ষ রোপণ করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী ১১ থেকে ১৪ আগস্ট এবং ২৭ থেকে ৩০ আগস্ট দুই ধাপে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সব জেলাসমূহে বৃক্ষরোপণ কাজ তদারকি করবেন। প্রত্যেক এলাকার সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় প্রশাসন, সংবাদমাধ্যমের সদস্য, সুশীল সমাজ, স্কাউটস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই কর্মসূচির গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, একটি গাছ সারা জীবনে কমপক্ষে ২.৫ লাখ টাকার ভূমিক্ষয় রোধ করে। উপকূলীয় এলাকায় দেখা যায়, সকল দুর্যোগে যেখানে গাছ আছে সেখানে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। বাঁধ টেকসই করতে বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই।
এর আগে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, নির্ধারিত ১৫-২০ দিনের মধ্যেই ১০ লাখ চারা রোপণের লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পারব। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এই চারা রোপণ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি সফল করতে আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া আছে ।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব কবির বিন আনোয়ার বলেন, আমরা বন বিভাগের সাথে আলোচনা করে জেলা পর্যায়ে ভূ-প্রকৃতি, পরিবেশ প্রতিবেশ বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে নির্ধারিত প্রজাতির চারা রোপণ করব। কারণ সব এলাকায় সব চারা বাঁচবে না। কাল থেকে শুরু হয়ে মাসব্যাপী চালু থাকবে আমাদের প্রোগ্রাম। ১১-১৪ আগস্ট এবং ২৭-৩০ আগস্ট এই দিনগুলো আমরা সকলকে সম্পৃক্ত করে উৎসবমুখর পরিবেশে কাজ করব।
ভয়েস টিভি/নিয়ামুল আজিজ সাদেক/ডিএইচ