প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদানসহ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
১৫ জুলাই বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সাহেদকে গ্রেফতারের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে র্যাবের এডিজি কর্নেল তোফায়েল আহম্মেদ জানান, দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর বেইলি ব্রিজের পাশে নর্দমার মধ্যে থেকে বোরকা পরা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের হাতে সাহেদ গ্রেফতার হওয়ার সময় প্রত্যক্ষদর্শী কোমরপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, আজ ভোরে আমরা তখন ফজরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়েছি। সেই সময় দেখলাম বেইলি ব্রিজের ওপারে র্যাবের তিনটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। এরপর র্যাব সদস্যরা চিৎকার করে বলতে থাকেন এই পেয়েছি। ধর ধর। এ সময় আমরা সবাই এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেলাম তারা সাহেদকে ধরে ফেলেছেন। পরে তারা তাকে ব্রিজ পার করে এপারে নিয়ে আসেন। এপারে নদীতে একটি নৌকা আছে। সাহেদ তার স্বীকারোক্তিতে র্যাবকে বলেছে এই নৌকাতে করেই নদী পাড়ি দিয়ে তার ভারতে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
নুরুল ইসলাম ওই ব্রিজের পাশে একটি ছোট ড্রেন দেখিয়ে বলেন, ওইখানে একটি নর্দমার মতো রয়েছে। সেই ড্রেনের ভেতরে বোরকা পরে শুয়ে ছিলেন প্রতারক সাহেদ। শোয়া অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার পরণে শার্ট, প্যান্ট ও বোরকা ছিল। আর তার কোমরে ছিল একটি পিস্তল। পরে র্যাব উপস্থিত জনতার সঙ্গে কথা বলে ও ছবি তুলে তাকে এখান থেকে নিয়ে যায়।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, র্যাবের অভিযান দলের হেলিকপ্টারযোগে বুধবার সকাল ৯টার দিকে সাহেদকে নিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় তেজগাঁও বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তাকে র্যাব সদর দফতরে নেয়া হয়।
ভয়েসটিভি/নিজস্ব প্রতিবেদক/এএস