Home জাতীয় যে কারণে এতো জনপ্রিয়তা পেল প্রজেক্ট হিলশা

যে কারণে এতো জনপ্রিয়তা পেল প্রজেক্ট হিলশা

by Amir Shohel

প্রজেক্ট হিলশা এই নামটি এখন ফেসবুক আর ইউটিউবের কল্যাণে মানুষের মুখে মুখে। নান্দনিক স্থাপর্ত্য শৈলী ডিজাইন আর খাবারের সুনামের কারণে অসংখ্য মানুষ প্রতিদিনই ঢাকা এমনকি দূর দুরান্তের জেলাগুলো থেকেও ছুটে আসছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু না করেই বিপুল মানুষের এই সাড়া মালিকদের অবাক করেছে। ৪০০ জনের বেশি মানুষ একসাথে বসতে পারে না সেকারণে অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও খেতে পারেন সময়মতো।

দিনের আলোয় প্রজেক্ট হিলশায় আকৃতি বা অবয়ব যাই বলি এমন দেখতে। সূর্যের আলোয় রুপালি ইলিশের মতো কাঁচগুলো চিকচিক করে। এখানে যারা এসেছেন তাদের বেশিরভাগই স্বচ্ছল এবং ভোজনবিলাসী। তবে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রেস্টুরেন্টটির নাম এতো বেশি দেখা গেছে যে অসংখ্য টিভি চ্যানেল ও ইউটিউবাররা ভিড় করছেন এখানে।

একসাথে অনেক মানুষের সংকুলান এবং খাবারের ব্যবস্থা করা কষ্টকর। একারণে দুপুর সাড়ে তিনটার পর দেড় ঘন্টা বিরতি। এসময়ে আসা মানুষ নিজেদের মতো করে প্রজেক্ট হিলশার চারপাশ ঘুরে দেখেন সেলফি ছবিতে স্মৃতি ধরে রাখেন নিজেদের।

আমরা খানিকটা দুরে পদ্মার পাড় ঘুরে আসলাম অবসরের এই সময়টায়। প্রাকৃতিক পরিবেশ আর ঘুরতে আসা মানুষের জন্য এধরণের আনিন্দ্য সুন্দর হিলশা প্রজেক্ট সত্যিই কাছে টানবে।

সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার আগেই মানুষের এই দীর্ঘ সারি। শিশু কিশোর ফুড লাভার যুবক যুবতী সব বয়সীদের অনেকেই ছুটে এসেছেন। সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করেছেন অনেকে। আসন নেই তাই বাইরে অনেকে।

ভেতরের পরিবেশটা মনোরম চাকচিক্যময় এবং বাহারি। এককথায় নান্দনিক সুন্দর। বিশেষ করে এর আর্কিটেক্চারাল ডিজাইনটা যেকোন মানুষের কাছে ভালো লাগার মতো। ইলিশের আকৃতি ২০ ফুটের বেশি চওড়া কোন অংশে। আবার লেজের অংশে কিছুটা নিচু।

গোলাপী আলোয় বড় বড় ইলিশ সাজানো কাচের জারে। পছন্দ করে অর্ডার করে ভিন্ন স্বাদ এবং চমৎকার পরিবেশে এটি উপভোগ করতে পারেন।

ভেতরে অনেকেই ইলিশ খাচ্ছেন। কেউ আবার অন্য খাবার। সরকার নির্ধারিত ১৫ শতাংশ ভ্যাটের সাথে সার্ভিস চার্জ ১০ শতাংশ।

টেবিলের টুংটাং শব্দে খাবার আর মৃদু আলাপচারিতায় সন্ধ্যা কাটাতে চাইলে আপনিও আসতে পারেন এখানে। রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা রাখা হলেও ভবিষ্যৎ এ সারারাত খুলে রাখার চিন্তা করছে রেস্টুরেন্ট মালিকরা।

ভয়েসটিভি/এএস

You may also like