Home জাতীয় বিশ্ব নেতৃত্ব ও শেখ হাসিনা

বিশ্ব নেতৃত্ব ও শেখ হাসিনা

by Newsroom
শেখ হাসিনা

দারিদ্রমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তার যোগ্য নেতৃত্ব ও সুশাসনে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি বিশ্বনেতৃত্বেও মর্যাদার অন্যতম আসনে অধিষ্ঠিত শেখ হাসিনা।

অর্থনৈতিক অগ্রগতি, অবকাঠামো নির্মাণ, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন, ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। ছুটে চলছে উন্নয়নের অগ্রপানে।

তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকার কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বপরিসরে নতুন মর্যাদায় অভিষিক্ত। সম্প্রতি প্রকাশিত কলরেডি নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জরিপে উঠে এসেছে তার জনপ্রিয়তার তথ্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে ১০ শতাংশ বেড়ে ৮০ শতাংশে হয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য জীবদ্দশায় হাজারও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ডিগ্রী এবং পুরষ্কার অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। নিজের কর্ম দক্ষতা দিয়ে তিনি হয়েছেন নানা বিশেষণে বিশেষায়িত। সততা, নিষ্ঠা, রাজনৈতিক দৃঢ়তা; গণতন্ত্র, শান্তি, সম্প্রীতি ও বিশ্বভ্রাতৃত্বের অনন্য রূপকার আর মানব কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হিসেবেও স্বীকৃতি লাভ করেছেন তিনি।

এসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবারই বলেন, দেশের সেবা করতে গিয়ে বাবার মতো যদি জীবন উৎসর্গ করতে হয়, তা করতেও প্রস্তুত তিনি। শান্তির অগ্রদূত শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য নিজের প্রাণকে তুচ্ছ করতে পারেন নির্দ্বিধায়। এমন বক্তব্যে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভরসার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছেন তিনি।

সারা বিশ্বে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত হয়ে রাষ্ট্রনায়ক যাঁরা বিশ্বে নেতৃত্বেও গৌরবের অধিকারী হয়েছেন তাঁদের অন্যতম বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।

নিম্ন আয়ের চিহ্নিত আমাদের দেশ এখন পরিণত হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশে। সোয়া পাঁচ কোটি মানুষ উন্নীত হয়েছে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে। জাতীয় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৭-এর ওপরে। এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদশ। নির্ধারিত সময়ের আগে জাতিসংঘ ঘোষিত এস.ডি.জি. অর্জনে বিশ্বে বিপুলভাবে প্রশংসিত বাংলাদেশ। মানুষের মাথাপিছু আয় ১৭৫২ মার্কিন ডলার।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩.৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। সারা বিশ্বের এটি অন্যতম রেকর্ড। বিশ্বব্যাংকের সাহায্য ছাড়াই দ্রুত এগিয়ে চলেছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। এগিয়ে চলেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রেরও কাজ। দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে শেখ হাসিনা গ্রহণ করেছেন ‘ভিশন-২০২১’ ও ‘ভিশন-২০৪১’ যুগান্তকারী কর্মসূচী।

২০১৮ সালের ১২ মে মহাশূন্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের উল্লেখযোগ্য ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে মহাকাশ বিজ্ঞানের যুগে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুধাবন করেছিলেন বহির্বিশ্বের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রক্ষা করতে না পারলে অগ্রগতি ও প্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

স্বাধীনতার মাত্র তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৪ জুনে গাজীপুরে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনে স্বপ্নের যে বীজ বপন করেছিলেন তার সফল বাস্তবায়ন হলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে। সাফল্যের মাইলফলকে এটি নজিরবিহীন বিরল ইতিহাস।

এরই মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে অভিনন্দিত হচ্ছে দেশরত্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাফল্য ও অর্জন। বিশ্বনেতৃত্বে সফল রাষ্ট্রনায়কদের শীর্ষস্থানে অন্যতম আসনের অধিকারী হয়ে শেখ হাসিনা দেশ ও জাতিকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের বিশ্ব নাগরিক মর্যাদায় করেছেন গৌরবান্বিত।

এরই মধ্যে টানা শাসনামলে একটি মধ্যম আয়ের দেশের সোপানে তুলে বাস্তবায়ন করেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন। দেশের গন্ডিপেরিয়ে তিনি এখন বিশ্বনেত্রী।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৭৫-এর পর পদে পদে অন্ধকারের সরীসৃপ এবং মৃত্যু-ঝুঁকি মোকাবিলা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অভাব-অনটন ক্ষুধার রাজ্যে সফল নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে এনেছেন যা আজ বহু রাষ্ট্রনেতা বহু দেশের কাছে ঈর্ষণীয়।

বলা যায়, শেখ হাসিনা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন দূরদর্শী রাজনীতি দিয়ে কিভাবে একটি দরিদ্র দেশকে সমৃদ্ধির মহাসড়কে তুলে আনা যায়।

নারী শিক্ষা ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় মহিয়সী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, বেগম শামসুন নাহার মাহামুদ, বেগম সুফিয়া কামালের সারিতে শেখ হাসিনার নাম এখন দিবালোকের সূর্যের মত জ্বলজ্বল করে আলো ছড়াচ্ছে।

এ মুহূর্তে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ১০/১১ কোটি সেল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে, ডেক্সটপ ও লেপটপ পিসি সহজলভ্য হওয়ায় এখন তা বাংলার ঘরে ঘরে ব্যবহৃত হচ্ছে। সাফল্যজনকভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে শেখ হাসিনার সরকার।

অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখছে। বিদ্যুতায়নের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে আজ যে কোনো সময় ও কালের চেয়ে বেশি প্রাণচাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে। আজ শহর-গঞ্জের দিন মজুরের চেয়ে গ্রামের কৃষি, অবকাঠামো ও পরিবহন শ্রমজীবীরা বেশি রোজগার করছে।

শেখ হাসিনা গ্রামীণ জীবনকে এমন পর্যায়ে তুলে এনেছেন যেখানে মানুষ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে যেমন স্বাস্থ্য সেবা দোরগোড়ায় পাচ্ছেন। অনলাইন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদেশে কর্মরত স্বামী সন্তানের সাথে যেমন সরাসরি কথা বলতে পারছেন তেমনি বিদেশ হতে প্রেরিত অর্থ অনায়সে তুলতে পারছেন।

ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পরীক্ষার রেজাল্ট প্রাপ্তি  কিংবা চাকরির আবেদন বা ব্যবসায়ীরা গ্রামে বসে অনলাইনে টেন্ডার ড্রপ তথা ব্যবসায়ে অংশ গ্রহণ করছেন।

১০ বছর আগে যে উত্তরবঙ্গ ছিল ভয়াবহ মঙ্গা কবলিত, সেখানে ‘মঙ্গা’ শব্দটিই আজ হারিয়ে গেছে। মানুষ দু’ বেলা পেটপুরে খেতে পারছে, আনন্দময় জীবন যাপন করতে পারছে। কৃষি ও মৎস্য গবেষক ও বিজ্ঞানীগণ আমাদের বিলুপ্ত কৃষিপণ্য এবং মৎস্য পুনরুদ্বার বা গবেষণায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে চলেছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ রক্তপাত নেই, বরং কমলা, আঙ্গুর, আপেল, মাল্টা, স্ট্র-বেরী প্রভৃতি বিদেশী ও আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা প্রভৃতি দেশীয় ফলও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন ও বাজারজাত হচ্ছে। টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির প্রসারের সুফল হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের পোশাক-আশাকেও অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে। এসব কিছুর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করে যেভাবে সাহসিকতার সাথে জেএমবি, আল-কায়েদা, আইএস, বোকো হারাম, মুসলিম ব্রাদারহুড, তালেবানদের এজেন্ট জামাত-শিবির, হিযবুত তাহরীর হিযবুল মুজাহিদিন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হামযা ব্রিগেড-এর মত জঙ্গিদের মোকাবিলা করে চলেছেন, তা বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়।

বন্যা, খরা, টর্নেডো, শৈত্যপ্রবাহ, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বা জলবায়ু পরিবর্তনে বা মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ দাঙ্গা-হাঙ্গামা, অগ্নিকান্ডে  তার সঠিক ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো; আগুনের ছাই থেকে উঠে এসেও নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে। অথচ এ দেশেই একদিন আততায়ীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হন বাবা-মা, ভাই-ভাবীসহ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন। নিজেও হামলার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকবার। এত কিছুর পরও মাটিকে ভালোবেসে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে পথ চলছেন তিনি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন অনুকরণীয় নেতৃত্ব। খাদ্যনিরাপত্তা, শান্তিচুক্তি, যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, সীমান্ত বিজয়, সমুদ্র বিজয়, নিজস্ব স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মহাকাশ বিজয়, স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মান,  নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক উন্নতি, স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষায় সমুজ্জ্বল তিনি।

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে শেখ হাসিনা আজ দক্ষতায়, মেধায়, প্রজ্ঞায়, মননে, দূরদর্শীতায় সবাইকে পেছনে ফেলে নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ধরিত্রীর আদরের কন্যা। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি আজ বিশ্বে সম্মান ও মর্যাদার শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠিত। ১৯৭১, ১৯৭৫, ২০০৪ ও ২০১৩-এর ঘাতকরা পরাভূত। ঘাতকরা ১৯ বার তাঁকে হত্যার চক্রান্ত করে।

বাংলাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের কোটি কোটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ও সম্মান বৃদ্ধি, বয়স্ক,বিধবা, প্রতিবন্ধি ভাতার সংখ্যা ও পরিমান বৃদ্ধি, শহরের বস্তিবাসীদের ঘরে ফেরা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প চালু, কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক চালুর মাধ্যমে নারী ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা প্রভৃতি এক মহা যুগান্তকারি কার্যক্রম। অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।

বিশ্বে যে পাঁচটি দেশ দ্রুত উন্নয়ন করছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিশ্ব উন্নয়ন ও শান্তি প্রচেষ্টায় তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্বনেত্রী। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। তিনি দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে চলছেন অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পথে।

রাজনীতিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের জন্য তিনি ওম্যান ইন পার্লামেন্ট গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। পাশাপাশি শেখ হাসিনা তার নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের কারণে বিভিন্ন স্বীকৃতিও অর্জন করেছেন। এর মধ্যে বিশ্বখ্যাত ফোর্বস সাময়িকীর দৃষ্টিতে বিশ্বের ক্ষমতাধর শত নারীর তালিকায় ৩৬তম এবং নিউইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর জরিপে ২০১১ সালে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারী নেতাদের তালিকায় সপ্তম স্থান দখল করেন।

১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না আসলে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ পাকিস্তানের মতোই ব্যর্থ জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত হতো। চারিদিকে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী হায়নার গ্রাস করতো সব সুন্দরকে। হয়তো এতোদিন পাল্টে ফেলতো এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সঙ্গীত। বন্ধ হত নারী শিক্ষা। দেশ এগিয়ে চলতো মধ্যযুগের সেই বর্বতার দিকেই।

চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় বসার পরই সুখবর পান শেখ হাসিনা। বিশ্বের শীর্ষ ১০০ চিন্তাবিদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন তিনি। ১০ বছরে বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১০টি বিভাগে ১০ জন করে সেরা ব্যক্তিত্ব বেছে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ১০০ জনের তালিকা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী ‘দ্য ফরেন পলিসি’ বিশ্বের সেরা চিন্তাবিদদের একটি তালিকা তৈরি করেছে। সাময়িকীটি তাদের ১০ম বার্ষিকীর বিশেষ সংস্করণে এসব চিন্তাবিদের নাম ও কাজের বর্ণনা প্রকাশ করেছে। সেখানে জায়গা করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর শেখ হাসিনা তালিকায় জায়গা করে নেওয়ার কারণ হলো, গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বসবাসের জায়গা করে দেওয়া।

বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ‘প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা’ বিভাগে জায়গা করে নিয়েছেন শেখ হাসিনা। ১০ জনের সংক্ষিপ্ত এই তালিকায় রাশিয়ার এক কর্মকর্তার পরই আছেন শেখ হাসিনা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিস্লাভ সুরকভ আছেন অষ্টম অবস্থানে। আর শেখ হাসিনার অবস্থান নবম।

ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাশেম সুলেয়মানি, জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওরসুলা ফন ডার লেয়ান, মেক্সিকোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওলগা সানজেন করডেরো, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদ, স্পেসএক্স-এর প্রেসিডেন্ট গুয়েনে শটওয়েল, প্যালানটিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালেক্স কার্প, বেলিংক্যাট-এর প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক ইলিয়ট হিগিংস, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিস্লাভ সুরকভ ও ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র ও মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রী সুশি পদজিয়াৎসু-র মতো এর মাধ্যমেই শেখ হাসিনাও হয়ে উঠেছেন বিশ্ব নেতা।

দ্যা ফরেন পলিসির ওই তালিকায় ‘দ্য স্ট্রংম্যান’ বিভাগের শীর্ষে আছে জামার্নির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

২০১৪ সালে এশিয়ার প্রভাবশালী শীর্ষ ১০০ জনের তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান ছিলো ২২তম।

তাই নির্দিধায় বলা যায়, দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ দেশরত্ন শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি বিশ্বনেতৃত্বেও মর্যাদার অন্যতম আসনের অধিকারী হয়েছেন।

ভয়েস টিভি/একে/টিআর

You may also like