Home জাতীয় শেখ হাসিনা: সফল রাষ্ট্রনায়কের ইতিকথা

শেখ হাসিনা: সফল রাষ্ট্রনায়কের ইতিকথা

by Newsroom
সফল রাষ্ট্রনায়কের

বাংলাদেশের ইতিহাসে সফলতার মাপকাঠিতে কে সবচেয়ে সফল? এমন প্রশ্নের জবাবে অনেক সমালোচকরাও একবাক্যে স্বীকার করেন সফল রাষ্ট্রনায়কের নাম বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

নানা চড়াই উৎরাই পার করে ১৯৮১ থেকে বাংলাদেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করেন তিনি। প্রথমে দলকে সুসংগঠিত করে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে গেছেন স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে। এরপর রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রের ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করেন শেখ হাসিনা। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অবস্থান ছিলো তাঁর।

১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেও সফল হন তিনি। প্রথমবারের মতো ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা শেখ হাসিনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এ বিচারের মাধ্যমে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছিলো। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল স্থাপনের জন্য আইন প্রণয়ন করেন। পরবর্তীতে এ আইনের অধীনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়।

শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে একটি পরিচিত নাম। বিশ্বব্যাংকের তোয়াক্কা না করে শেখ হাসিনা পদ্মা নদীর ওপর ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করেন। যা বর্তমানে শেষের পথে রয়েছে।

আরেকটি বড় প্রকল্প- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন। এ কাজে ব্যয় হবে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।

দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। অর্থাৎ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাকাশ জয় করলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক।

মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেস-এর কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। দেশে প্রথমবারের মত ৬ লেনের ফ্লাইওভার নির্মিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকার ভারত ও মিয়ানমারের বিপক্ষে সমুদ্র বিজয় করেছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ছিটমহল সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা বিশ্বের কাছে মানবতার নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

বিদ্যুৎ উৎপাদন ও প্রযুক্তিখাতে অভাবনীয় উন্নতি করছে বাংলাদেশ।

শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, অর্থনীতি, খাদ্যসহ সবগুলো সেক্টরেই বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।

একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এরইমধ্যে তিনি শান্তি, গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূষিত হয়েছেন মযার্দাপূর্ণ অসংখ্য পদক, পুরস্কার আর স্বীকৃতিতে।

বাংলাদেশের গ্রাম, শহর সর্বত্র পরিবর্তন দৃশ্যমান, জনজীবনে আশার আলো দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। এর পেছনে ও সম্মুখে আছেন শেখ হাসিনা। এসব কারণেই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি ৪বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কেবল এ উপমহাদেশের নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রভাবশালী নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

পিপলস এন্ড পলিটিকস জরিপে তিনি বিশ্বের সেরা সৎ ৫ জন রাষ্ট্রপ্রধানের একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের বিবেচনায় বিশ্বের প্রভাবশালী ১০ জন নারীনেত্রীর একজন হলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে নিউ স্টার অব দ্য ইস্ট বলা হয়।

বিভিন্ন জরিপে বিশ্বের ১০০ জন ক্ষমতাধর নারী ও চিন্তাবিদের তালিকায় বঙ্গবন্ধুকন্যা রয়েছেন। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন, কেউ কেউ শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করছেন।

বর্তমানে শেখ হাসিনা যে একজন আন্তর্জাতিক নেতায় পরিণত হয়েছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

ভয়েস টিভি/এনএস/টিআর

You may also like